এতোয়া মুণ্ডার কাহিনি – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) অনুমোদিত পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই “পাতাবাহার” । এখানে লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ গল্পটি দেওয়া হল ।

এতোয়া মুন্ডার কাহিনী গল্প

গ্রামটার নাম হাতিঘর, যদিও এখন সেখানে হাতি নেই । মোতিবাবুর পূর্বপুরুষেরা যখন মস্ত জমিদার ছিলেন, ওঁদের ছিল হাতি । আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের । ওঁদের সে পাথরের বাড়ি আজও আছে । তাতে তিরিশটা ঘর । একতলার ঘরে দেখবে চাল, ডাল, গম, কত কী । হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর ।

এতোয়ার দাদু বলে, এক সময়ে এটা ছিল আদিবাসী গ্রাম । নাম ছিল শালগেড়িয়া । সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে ।

– নামটা বদলে গেল কেন গো ?

– বাবুরা এল । আমাদের সব নিয়ে নিল ।

– আদিবাসীরা কিছু বলল না ?

– তুই বড্ড বকিস এতোয়া । তোর বাপেরও এত কথা শুধাবার সাহস হতো না । লেখাপড়া জানতাম না, সরকারের আইনকানুন বুঝতাম না । তাতেই আমরা হেরে গেলাম ।

– শুধু এই কথাটি বলো, নিজের দেশ ছেড়ে তোমরা কবে এলে এখানে ?

– হাজার হাজার চাঁদ আগে । হাসিস কেন ?

– এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসেব করে ?

– আমরা তো করেছি । মরণকাল অবধি তাই করব । আমাদের আদিপুরুষরা দেশ ছাড়ল-সিধু কানু যখন সাঁওতালদের নিয়ে সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধে নামল । সে কী ভীষণ যুদ্ধ ! সাহেবরা জিতে গেল । সাঁওতালরা এদিক সেদিক পালিয়ে বাঁচল । এখানে যারা এসেছিল তারা বন কেটে বসত করল । সে কি আজকের কথা রে ?

– আমরা মুন্ডারা তখনি এলাম ?

গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায় । কচি ছেলে, কিছুই জানে না । -ওরে, জোর জুলুম না করলে কোনো আদিবাসী কখনো দেশ ছাড়ে না । কতবছর বাদে বিরসা মুন্ডা মুন্ডাদের নিয়ে সাহেবদের উৎখাত করবে বলে লড়াই করল । সেও এক ভীষণ যুদ্ধ । বনাবন তির চলে, ওরা দনাদন গুলি চালায় । সাঁওতালরা করল “হুল”, আমরা করলাম “উলগুলান” । হারলাম তো আমরাও । বাতাসের মুখে পাতার মতো আমরা বাংলা, ওড়িশা, বিহার, আসাম কত জায়গায় যে গেলাম, কত বন কেটে বসত বসালাম । এখন মুণ্ডা সাঁওতাল সব দেশে ।

– এখানে চলে এলে ?

– ছোটনাগপুর ছাড়লাম । হাঁটতে হাঁটতে সুবর্ণরেখা পার হলাম, সাঁওতালরা খুব খুশি । আদিবাসী আসছে । মানুষ বাড়ছে । ওই যে তোরা বলিস ডুলং নদী, আমরা তাকে বলতাম দরংগাড়া । তখন জঙ্গল যত, জানোয়ার তত । গ্রামে যে লোধা আদিবাসী দেখিস, ওরা বনজীবী মানুষ, বনের সন্তান । বাঘুৎ দেবতা পূজবে, বাঘ যাতে গরু না খায় । বড়াম মায়ের পূজা দেবে । তিনি রক্ষা করেন । আমরা এক সঙ্গে বন কেটে বসত করেছি । তবে জঙ্গল তো মা ! জঙ্গল নষ্ট করি নাই । লোধারা তো আজও শিকার করে ।

– বাবু যে বলে, তোরা, আদিবাসীরাই জঙ্গল কেটে শেষ করেছিস ?

Read Also:

এতোয়া মুন্ডার কাহিনী – প্রশ্ন ও উত্তর | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

– না রে না । জঙ্গল আর কতটুকু আছে বল ? তবু তো জঙ্গল থেকেই কন্দ, মূল, ফল, পাতা, জ্বালানি, খরগোশ, শজারু, পাখি… গ্রাম দেবতা, যাকে বলি গড়াম, সেও তো বুড়ো শালগাছটা ! যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে ?

– গাঁয়ের নামটি হাতিঘর কেন হলো গো ?

– বন কাটলাম, মাটি যেন হেসে উঠল । আর কি, বাবুরা ঢুকে পড়ল । এই হয়ে আসছে চিরকাল । লেখাপড়া জানি না, সবকিছু নিয়ে নিল ওরা । নতুন নাম দিল হাতিঘর । যা, অনেক বকলাম রে, এতোয়া । তা এত কথা জানতে চাইলি যে ?

এতোয়া কী বলবে ঠাকুরদাকে ? বাবুর বাড়ি কাজে যায় । প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ । সাঁওতাল মাস্টার গল্প বলে কি বা ! ক্লাস বসতে না বসতে গল্প শুরু করে । গল্পের শুরু কোথায় কে জানে । এতোয়া শুধু শোনে, ‘তখন তারা তির ছোঁড়ে শনশন । তিরে তিরে আকাশ আঁধার ! সে যে কী ভীষণ যুদ্ধ তার আর কি বলি !’

কোন যুদ্ধের কথা বলে গো মাস্টার ? এতোয়া জানে না তো । মহাভারতের যুদ্ধ ? রামায়ণের যুদ্ধ ? রোহিণী গ্রামে গিয়ে এতোয়া যাত্রাও দেখেছে, আর রামায়ণ, মহাভারতের কথাও যাত্রা দেখে সে জেনে ফেলেছে ।

মাস্টারের গলা শুনতে শুনতে ও দৌড়ে চলে । মোতিবাবু হল গ্রামের ঠাকুর-দেবতা । ছোট্ট এতোয়া তার বাগাল । ওর কাজ গরু ছাগল চরানো ।

হাতিঘর কলকাতা থেকে কত কাছে, তবু কত দূরে । হাওড়া থেকে চলো খড়গপুর, তারপর বসো বাসে । নেমে পড়ো গুপ্তমণি মন্দিরের সামনে । বড়াম মা দেবী, যিনি সকলকে রক্ষা করেন ।

লোধা পুরোহিত পূজা করে । বম্বে রোডে যত বাস-ট্রাক চলে, সবাই গুপ্তমণির মন্দিরে প্রণামি দেয় । গুপ্তমণি থেকে রোহিণী যাবার বাস পাবে কি না জানে । দক্ষিণ পশ্চিমে হাঁটো না সাত আট মাইল ।

হাঁটতে হাঁটতে পেরোলে ছোট্ট একটি নদী, যার জল কাচের মতো । পেরোলে ছোটো ছোটো আদিবাসী গ্রাম । তারপর মস্ত গ্রাম রোহিণী পেরিয়ে দক্ষিণে চলো, ডুলং নদী, যার আদিবাসী নাম দরংগাড়া, সে চলেছে নেচে নেচে তোমার সঙ্গে । যেই দেখলে আকাশছোঁয়া একটি শাল আর একটি অর্জুন গাছ, পৌঁছে গেলে এতোয়াদের গ্রাম হাতিঘর ।

গাছের গোড়ায় দেখবে পোড়ামাটির মস্ত হাতি, মস্ত ঘোড়া । ছোটো ছোটো অমন অনেক হাতি, অনেক ঘোড়া । আদিবাসী, অ-আদিবাসী, সবাই গ্রামদেবতা বা গড়ামকে পুজো দিয়ে গেছে ।

Read Also:

গল্পবুড়ো – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

বুনো হাঁস – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

দারোগাবাবু এবং হাবু – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

পাখির কাছে ফুলের কাছে – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

বিমলার অভিমান – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

ছেলেবেলা – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

মাঠ মানে ছুট – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

ঝড় – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

ডুলং নদী খানিক বাদেই মিলেছে সুবর্ণরেখায় । সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর । ইচ্ছে হলেই নেমে স্নান করতে পারো । জল তো কোমর অবধি, ডুবে যাবে না । স্রোত কি জোরালো ! এতোয়া ওর প্রিয় মোষটির পিঠে চেপে চলে যায় গেরুয়া সমুদ্দুর পেরিয়ে কত সময় !

এতোয়া কী করে ? ও গরু ছাগল মোষ চরায় । নামটি এতোয়া কেন গো ? রবিবারে জন্মাল যে ! সোমে জন্মালে নাম হত সোমরা, সোমাই, এমনি কোনো নাম । আদিবাসীদের যার ইচ্ছে, জন্মাবারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখে । যার ইচ্ছে সে তোমার আমার মতো বাংলা নাম রাখে । এতোয়ার নামটি দিল ঠাকুরদা মঙ্গল মুণ্ডা । এ রাজে মুণ্ডা, সাঁওতাল, লোধা, সবাই বাংলাও বলে, নিজের ভাষাও বলে ।

এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘোড়া । এখনই লাফিয়ে উঠে দৌড় লাগাবে । বয়স তো মোটে দশ । মাথায় লালচে চুল খুব ঝাঁকড়া । সব সময়ে পরনে একটা খাকি হাফপ্যান্ট । চোখ দুটো জ্বলজ্বলে আর ধারালো । সব দিকে ওর নজর থাকে । ঠাকুরদা বড্ড বুড়ো, ও বড্ড ছোটো, ওকে অনেক কথা ভাবতে হয় । একটি শুকনো ডাল, কয়েকটা শুকনো পাতা, সব ওর চোখে পড়ে । সব ও জ্বালানির জন্য কুড়িয়ে নেয় ।

গ্রামে তো প্রতি সপ্তাহে হাট বসে । হাটের দোকানির দোকান ঝাঁটপাট দিয়ে ও একটি বস্তা চেয়ে নিয়েছে । বস্তাটি ওর সঙ্গে থাকে । পুরোনো আমবাগানে বাবুর গরু চরাতে চরাতে ও ঠিক কুড়িয়ে নেয় টোকো আম । শুকনো কাঠ । মেটেআলু খুঁড়ে বের করে মাটি থেকে, মজা পুকুরের পার থেকে তোলে শাক । স-ব চলে যায় ওর বস্তায় ।

তারপর গরু নিয়ে ও ডুলং পেরিয়ে চরে ওঠে । ঘন সবুজ ঘাসবনে গরু মোষ ছেড়ে দেয় । এবার ও দৌড় মারে চরের মাঝে সুবর্নরেখা যেখানে সরু । বাঁশে বোনা জালটা পাতে সেখানে । এখন ও রাজা । এই নদী, আকাশ, চরের রাজা । নিজেকেই বলে, মাছ পেলে মাছ খাব, শাক তো খাবই । মুদি দাদা মেটেআলুটা নিয়ে যদি নুন-তেল-মশলা দেয়, ওকেই দেব । না দেয় তো মেটেআলুটা আমি আর দাদু খাব ।

কী কী খাব ভাবতে গেলেই খিদে ভুলে যায় গো ! এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনো ফুল, আকাশ, সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ ! তির চলছে শনশন, কামান চলছে দনাদন, ঘোড়া ছুটছে খটাখট, কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ !

এতোয়া জানে না মাস্টার কোন যুদ্ধের কথা বলে । ১৮৫৭-৫৮-র যুদ্ধের কথা ? না অন্য কোনো যুদ্ধ যাতে তিরের সঙ্গে বন্দুকের লড়াই হয়েছিল, মাস্টার তো একেক দিন একেক যুদ্ধের কথা বলে ।

ও জানেও না, পরোয়াও করে না । যুদ্ধ তো হয়েছিল, আবার কী চাই ।

আকাশ, ঘাস বনে গুনগুন গুঞ্জন করা উড়ন্ত পতঙ্গ, বাতাসে দুলন্ত হাসন্ত বুনো ফুল, গরুর পাল, কেউ জানে না ছোট্ট এতোয়া এক ভীষণ যুদ্ধের কথা বলে ।

গরুর বাগাল আদিবাসী ছেলেকে ঘাস, ফুল, নদী, কেউ পাত্তা দেয় না গো । ডুলং আর সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায় । অথচ এ সব নদীর তীরেও নাকি একদিন কত যুদ্ধ হয়েছে ! সুবর্ণরেখার জলে নাকি এখনো সোনার রেণু পাওয়া যায় । লোকে বলে ।

এতোয়া ওসব বিশ্বাস করে না । তাহলে তো লোধা বুড়ো ভজন ভুক্তার কথাও বিশ্বাস করতে হয় । ভজন বলে, ছিল রে ছিল । শূরবীর এক আদিবাসী রাজা ছিল ! বাইরের মানুষ এসে যখন তার রাজ্যপাট কেড়ে নিল, তখন তামার ঘণ্টা আর তির ধনুক নিয়ে সে ডুলং নদীতে ঝাঁপ দিল । যদি কেউ ভক্তিভরে তাকে ডাকতে পারে, রাজা তখনই ঘণ্টা বাজাবে ঢং ঢং । তারপর হাতি চেপে ধনুক হাতে উঠে আসবে জল থেকে । বাঘের মতো গর্জনে আকাশটা কাঁপিয়ে বলবে, ‘কে ডাকে আমায় ? আমার সেনারা কোথায় ? জল থেকে উঠে আসব, আমার রাজ্য আমার হবে, মাটি ঢেকে দেব জঙ্গলে আর জঙ্গলের প্রাণী, জঙ্গলের মানুষ দিয়ে । সে জন্য পাতালে আমি কতদিন অপেক্ষা করব ?’ বলে, আর ঘণ্টা বাজায়, বলে আর ঘণ্টা বাজায় । ঝড় বাদলের রাতে স-ব শোনা যায় ।

ভজন ভুক্তা অন্ধ মানুষ । হাটবাবে হাটতলায় ও গল্প বলে, গান গায় । কতদিন এতোয়া ওকে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে । কতদিন বলেছে, ‘কি গল্পই বললে আজ দাদু ! সবাই শুনছিল গো ! দ্যাখো, কতগুলো দশ পয়সা পেয়েছ !’

– এতোয়া রে ! ছেলে তুই বড্ড ভালো । ইস্কুলে যাস না এই বড় দুঃখ । আমাদের ছেলেমেয়ে গাই চরাবে বাবুর বাড়ি, বন হতে কাঠ আনবে, ইস্কুলে যায় না রে ! অথচ এখন গ্রামে ইস্কুল । সাঁওতাল মাস্টারটা কত ভালো । ঘরে ঘরে যাবে আর বলবে, ছেলেমেয়ে ইস্কুলে পাঠাও । আমাদের ঘরে ছেলেমেয়ে পড়তে শিখবে না ? আমরাই তো পেটের জ্বালায় ছেলেমেয়েদেয় পাঠাই না । আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা । এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু… যা, তুই ঘর যা বাছা ! এখন আমি চলে যেতে পারব ।

Read Also:

মধু আনতে বাঘের মুখে – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

মায়াতরু – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

ফণীমনসা ও বনের পরি – নাটক | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

বোকা কুমিরের কথা – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

মাস্টারদা – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

মিষ্টি – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

তালনবমী – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

একলা – কবিতা | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

আকাশের দুই বন্ধু – গল্প | পঞ্চম শ্রেণি | পাতাবাহার

এতোয়া মুন্ডার কাহিনী গল্পের লেখিকা পরিচিতি:

মহাশ্বেতা দেবী (জন্ম ১৯২৬): বাবা বিখ্যাত লেখক মনীশ ঘটক (যুবনাশ্ব) । মহাশ্বেতা দেবী অধ্যাপনা ছাড়া সাংবাদিক হিসাবেও কাজ করেছেন । তিনি বহুদিন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার অরণ্যভূমির মানুষের জীবনের সঙ্গে রয়েছেন । জনপ্রিয় উপন্যাস ‘ঝাঁসির রানী’, ‘নটী’, ‘অরণ্যের অধিকার’, ‘হাজার চুরাশির মা’ । ছোটোদের জন্য বিখ্যাত গ্রন্থ ‘গল্পের গরু ন্যাদোশ’, ‘এককড়ির সাধ’, ‘নেই নগরের সেই রাজা’, ‘বাঘাশিকারী’ ইত্যাদি । সমাজসেবামূলক কাজের স্বীকৃতিতে পেয়েছেন ‘ম্যাগসেসে’ পুরস্কার । সাহিত্যরচনার জন্য আকাদেমি পুরস্কার সহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন । পাঠ্যাংশটি তাঁর লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয়’ বইয়ের প্রথম পরিচ্ছেদ থেকে নেওয়া হয়েছে ।

Follow us:

If you like this article, you can Follow us on Facebook.
Also, you can Subscribe to our YouTube Channel.

Leave a Reply