Site icon STUDYMAT

পশুপাখির ভাষা – প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি | সাহিত্যমেলা

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) অনুমোদিত ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই “সাহিত্যমেলা” । এখানে লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরীর ‘পশুপাখির ভাষা’ গল্পটির প্রশ্ন ও উত্তর (হাতে কলমে) আলোচনা করা হল ।

পশুপাখির ভাষা – প্রশ্ন ও উত্তর

উত্তর : সুবিনয় রায়চৌধুরী হারমোনিয়াম, এসরাজ প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন ।

উত্তর : সুবিনয় রায়চৌধুরী সন্দেশ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।

পশুপাখির নামডাক
ব্যাঙের ডাককাকলি
হাতির ডাকহ্রেষা
পাখির ডাকবৃংহণ
কোকিলের ডাকমকমকি
ঘোড়ার ডাককেকা
ময়ূরের ডাককুহু


উত্তর :

পশুপাখির নামডাক
ব্যাঙের ডাকমকমকি
হাতির ডাক বৃংহণ
পাখির ডাককাকলি
কোকিলের ডাককুহু
ঘোড়ার ডাকহ্রেষা
ময়ূরের ডাককেকা

পশু, মুখ, মন, পরীক্ষা, চালাক, অর্থ, লোভ, জন্তু, মেজাজ ।

উত্তর :

বিশেষ্যবিশেষণ
পশুপশুসুলভ
মুখমুখমণ্ডলীয়
মনমনোযোগী, মানসিক
পরীক্ষাপরীক্ষামূলক, পরীক্ষিত
চালাকিচালাক
অর্থঅর্থপূর্ণ, আর্থিক
লোভলোভী
জন্তুজন্তুসুলভ
মেজাজমেজাজি

৪.১ মুরগিরা ‘তি-তি’ ডাক শুনে আসে ।

৪.২ পাখিরাও ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করবার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে ।

৪.৩ ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন ।

৪.৪ শিম্পাঞ্জি, ওরাং এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি ।

উত্তর :

উদ্দেশ্যবিধেয়
৪.১ মুরগিরা‘তি-তি’ ডাক শুনে আসে
৪.২ পাখিরাওভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করবার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে
৪.৩ ক্যাস্টাং সাহেবপ্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন
৪.৪ শিম্পাঞ্জি, ওরাংএদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি

পাখি, পুকুর, হাতি, সিংহ, বাঘ ।

উত্তর:

পাখি → পক্ষী, বিহঙ্গ, খগ, গগনচারী, খেচর, কুজন ।

পুকুর → পুষ্করিণী, দিঘি, সরোবর, জলাশয়, পরিখা ।

হাতি → গজ, দ্বিপ, করী, মাতঙ্গ, ঐরাবত, হস্তি, কুঞ্জর, দ্বিরদ ।

সিংহ → বাঘেশ্বর, কেশরী, পিঙ্গাক্ষ, ভীষণ, পশুরাজ, কেশরী, মৃগেন্দ্র, হরি, হর্ষক্ষ ।

বাঘ → ব্যাঘ্র, কেদার, শার্দূল, পশুশ্রেষ্ঠ ।

৬.১ কুকুরেরাও কথা শুনে হুকুম পালন করতে ওস্তাদ ।

উত্তর : কুকুরেরাও → বহুবচন ।

৬.২ তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে ।

উত্তর : তোমার → একবচন ।

৬.৩ বিপদের সময় পরস্পরকে জানাবার উপায়ও পশুপাখিরা বেশ জানে ।

উত্তর : পরস্পরকে → বহুবচন, পশুপাখিরা → বহুবচন ।

৬.৪ রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন সাহেব বহুকাল পশুদের সঙ্গে ভাব পাতিয়ে বেড়িয়েছেন ।

উত্তর : একজন → একবচন, পশুদের → বহুবচন ।

৬.৫ একেও ভাষা বলতে হবে ।

উত্তর : একেও → একবচন ।

উত্তর : ভাষা আমাদের ভাব প্রকাশের একটি প্রধান উপায় । ভাষার মাধ্যমে আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে, আমাদের চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি, আনন্দ বা দুঃখ প্রকাশ করতে পারি । পশুপাখিরাও বিশেষ শব্দ বা ইশারার মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে । ভাষা না থাকলে আমরা নিজেদের কথা বা অনুভূতি অন্যকে বুঝিয়ে বলতে পারতাম না । তাই ভাষা আমাদের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।

উত্তর : লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরীর ‘পশুপাখির ভাষা’ গল্পে ‘পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে ।’ – একথার সমর্থনে রচনাটিতে নিম্নলিখিত প্রসঙ্গগুলো উল্লেখ করা হয়েছে :

১) নাম ধরে ডাক দিলে পশুপাখি সাড়া দেয় : কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া তাদের নাম শুনে কান খাড়া করে এবং ডাকলে কাছে আসে ।
২) বিশেষ ডাক শুনে আসে : মুরগি ‘তি-তি’, হাঁস ‘সোই-সোই’, ছাগল ‘অ-র্-র্’ ডাক শুনে সাড়া দেয় ।
৩) হাতি মাহুতের কথা বোঝে : মাহুতের ‘বৈঠ’, ‘তেরে’, ‘ভোরি’, ‘মাইল’ এর মতো নির্দেশ মেনে চলে ।
৪) কুকুর শেখানো কথার অর্থ বোঝে : কুকুরকে শেখানোর পর তারা হুকুম পালন করে ।

আমি এর সঙ্গে যোগ করতে চাইব :

পশুপাখিরা তাদের বুদ্ধি ও অভ্যাস অনুযায়ী মানুষের ভাষা বা নির্দেশ কিছুটা বোঝে। এটি তাদের জীবনের সহজ ও নিরাপদ চলাচলে সহায়ক।

উত্তর : লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরীর ‘পশুপাখির ভাষা’ গল্পে রিউবেন ক্যাস্টাং-এর অভিজ্ঞতা খুব সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে । তিনি অনেক বছর ধরে বন্য পশুপাখিদের সঙ্গে থেকেছেন এবং তাদের ভাষা ও আচরণ সম্পর্কে গভীরভাবে জেনেছেন ।

রিউবেন ক্যাস্টাং-এর অভিজ্ঞতার উল্লেখ:

১) পশুদের ভাষা বোঝার ক্ষমতা : ক্যাস্টাং সাহেব বলেন, তিনি পশুদের ভাষা বোঝার কারণে বহুবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচেছেন ।
২) সিংহের ভাষা বোঝা : সিংহকে তার ভাষায় বোঝাতে পারলে অনেকটা নিরাপদ থাকা যায় ।
৩) শব্দ নকল করার ক্ষমতা : পশুদের গলার আওয়াজ নকল করে তিনি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন ।
৪) ইশারার ভাষা বোঝা : কুকুরের লেজ বা কান নাড়ার মতো ইশারার মধ্যেও অনেক অর্থ লুকিয়ে থাকে, যা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ।
৫) মনের ভাব লক্ষ করা : ক্যাস্টাং সাহেব পশুদের মেজাজ ও আওয়াজ বুঝে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন ।

ক্যাস্টাং সাহেবের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, পশুদের ভাষা ও ইশারা বোঝা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এটি শুধু তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে সাহায্য করে না, বিপদের সময় প্রাণ রক্ষাতেও সাহায্য করে ।

উত্তর : লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরীর ‘পশুপাখির ভাষা’ গল্পে বক্তা মনে করেন, পশুপাখির বিভিন্ন শব্দ, আওয়াজ ও ইশারা যেমন লেজ নাড়া, কান নাড়া বা বিশেষ ধরণের শব্দও ভাষার অংশ । এটি তাদের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম । তাই এগুলোকেও ভাষার মর্যাদা দেওয়া উচিত ।

হ্যাঁ, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত । পশুপাখি কথা বলতে না পারলেও তাদের বিশেষ শব্দ এবং আচরণ দিয়ে নিজেদের ভাব প্রকাশ করে । যেমন:

যেহেতু শব্দ ও ইশারার মাধ্যমে পশুপাখিরা নিজেদের অনুভূতি ও চিন্তা প্রকাশ করে, তাই এগুলোও ভাষার একটি বিশেষ রূপ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ।

উত্তর : লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরীর ‘পশুপাখির ভাষা’ গল্পে এখানে বন্য পশুপাখির কথা বলা হয়েছে, যারা জঙ্গলে বাস করে ।

তাদের এই স্বভাবগত ‘নীরবতা’র কারণ: বন্য পশুপাখি সবসময় নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে চলার জন্য সতর্ক থাকে । তারা জানে, বেশি আওয়াজ করলে শিকারি বা অন্য কোনো শত্রু তাদের অবস্থান টের পেতে পারে । তাই তারা অযথা চেঁচামেচি করে না এবং স্বভাবতই নীরব থাকে ।

প্রাণ বাঁচানোর জন্য জঙ্গলের পশুপাখিদের নীরব থাকার এই স্বভাব তাদের টিকে থাকার অন্যতম কৌশল ।

উত্তর : লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরীর ‘পশুপাখির ভাষা’ গল্পে শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং এবং গরিলাকে মানুষের জাতভাই বলা হয়েছে । এরা মানুষদের মতোই অনেক কাজ করতে পারে এবং বুদ্ধিমান ।

তাদের সঙ্গে মানুষের পার্থক্যের কথা :

১) ভাষার অভাব : মানুষের মতো তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ ভাষা নেই । তারা কেবল কিছু শব্দ ও ইশারার মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করে ।
) মুখের ভাবপ্রকাশ : এরা মনের ভাব বেশি মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশ করে, ভাষার মাধ্যমে নয়।

যদিও তারা মানুষের মতোই অনুভূতি এবং আচরণ প্রকাশ করতে পারে, তবু ভাষা ও বুদ্ধিমত্তায় মানুষের তুলনায় পিছিয়ে । তাই মানুষ ও তাদের মধ্যে এই পার্থক্য রয়েছে ।

উত্তর : আমার চারপাশে নানা ধরণের জীবজন্তু আছে, যারা তাদের ডাকের মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করে । সকালে মোরগের ‘কুক্‌-কু-ড়ু-কু’ ডাক ঘুম থেকে ওঠার বার্তা দেয় । পায়রার ‘গুটর গুঁ’ ডাক খুব মিষ্টি শোনায় । সন্ধ্যায় ঝিঁঝি পোকাদের ডাক পরিবেশকে সুরেলা করে তোলে । কুকুর তার ‘ঘেউ ঘেউ’ ডাক দিয়ে বিপদ বা অপরিচিত লোকের উপস্থিতি জানান দেয় । বেড়ালের ‘ম্যাও ম্যাও’ ডাক বোঝায় সে কিছু চাইছে বা মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায় । এভাবে আমাদের চারপাশের জীবজন্তুরা তাদের বিশেষ ধরণের ডাক দিয়ে আমাদের পরিবেশে আলাদা একটা রঙ যোগ করে ।

উত্তর : গল্পের নাম : জঙ্গলের বন্ধুত্ব

একদিন সকালে আরিফ নামের এক ছোট্ট ছেলে জঙ্গলে হাঁটতে গিয়েছিল । হঠাৎ সে দেখল, একটি ছোট্ট খরগোশ তার পায়ে লেগে পড়ে গেছে । খরগোশটি চিৎকার করে বলল, “ওহ, আমার পায়ে চোট লেগেছে । তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে ?” আরিফ খুব অবাক হলো, কারণ খরগোশ মানুষের মতো কথা বলছে !

আরিফ খরগোশটিকে তুলে নিয়ে তার পায়ের চোট দেখতে লাগল । এরপর সে তার সঙ্গে কিছু খাবার ভাগ করে খাওয়াল । খরগোশটি বলল, “তুমি খুব দয়ালু । আমি তোমাকে আমাদের জঙ্গলের বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব ।”

খরগোশটি আরিফকে জঙ্গলের গভীরে নিয়ে গেল, যেখানে শিয়াল, হরিণ, এবং বিভিন্ন পাখি তাকে স্বাগত জানাল । সবাই মানুষের মতো কথা বলল । শিয়াল বলল, “তুমি আমাদের বন্ধু, তাই আমাদের জঙ্গলেও তোমার জায়গা আছে ।”

সবাই মিলে খেলাধুলা করল, গান গাইল, আর দারুণ মজা করল । তাদের বন্ধুত্ব এত গভীর হয়ে গেল যে আরিফ প্রতিদিন তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসতে লাগল । আরিফ প্রতিশ্রুতি দিল যে সে কখনো জঙ্গলের কোনো ক্ষতি হতে দেবে না ।

এইভাবে, মানুষের সঙ্গে পশুপাখির বন্ধুত্ব গড়ে উঠল, যা সবার জন্য এক অনন্য উদাহরণ হয়ে রইল ।

উত্তর : ৮. নম্বর প্রশ্নের উত্তর তোমরা নিজেরা লেখো । তোমাদের লেখা উত্তর এই পোষ্টের Comment Section-এ অথবা YouTube Channel এর ‘পশুপাখির ভাষা’ গল্পটির প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও-এর Comment Section-এ আমাদের পাঠাতে পারো ।

Follow us:

If you like this article, you can Follow us on Facebook.
Also, you can Subscribe to our YouTube Channel.

Exit mobile version