মরশুমের দিনে – প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি | সাহিত্যমেলা

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) অনুমোদিত ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই “সাহিত্যমেলা” । এখানে লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পটির প্রশ্ন ও উত্তর (হাতে কলমে) আলোচনা করা হল ।

মরশুমের দিনে – প্রশ্ন ও উত্তর

১.১ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম কী ?

উত্তর : সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম হল পদাতিক ।

১.২ তাঁর লেখা একটি গদ্যের বইয়ের নাম লেখো ।

উত্তর : তাঁর লেখা একটি গদ্যের বইয়ের নাম হল কাঁচা-পাকা ।

Read Also:

মরশুমের দিনে – গল্প | ষষ্ঠ শ্রেণি | সাহিত্যমেলা

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১ ধান শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে ?

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে ধান শব্দটি ধন শব্দ থেকে এসেছে ।

২.২ ‘অগ্রহায়ণ’ বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে ‘অগ্রহায়ণ’ বলতে বোঝায় বছরের গোড়া মানে বছরের শুরু । হায়ন মানে বছর, হায়ন কথাটার আর এক মানে ফসল ।

২.৩ এদেশের সমস্ত পালা-পার্বণ, আনন্দ-উৎসব – এসবের মূলে কী রয়েছে ?

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে এদেশের সমস্ত পালা-পার্বণ, আনন্দ-উৎসবের মূলে রয়েছে চাষাবাদ ।

২.৪ বসুধারা ব্রত কোন ঋতুতে হয় ?

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে বসুধারা ব্রত গ্রীষ্ম ঋতুতে হয় ।

২.৫ মেঘকে নামাবার জন্য মেয়েরা দল বেঁধে ছড়া করে তাকে কী কী নামে ডাকে ?

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে মেঘকে নামাবার জন্য মেয়েরা দল বেঁধে ছড়া করে তাকে কালো মেঘা, ফুলতোলা মেঘা, ধুলোট মেঘা, তুলোট মেঘা নামে ডাকে ।

৩. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :

মফস্বল, বৎসর, খর, ব্রত, বিস্তর, পর্বত, ঝড় ।

উত্তর :

বিশেষ্যবিশেষণ
মফস্বলমফস্বলী
বৎসরবাৎসরিক
খরাখর
ব্রতব্রতী
বিস্তারবিস্তর
পর্বতপার্বত্য
ঝড়ঝড়ো

৪. নীচের বাক্যগুলি গঠনগতভাবে কোনটি কী ধরনের লেখো (সরল/ যৌগিক/ জটিল) :

৪.১ গ্রামের যাত্রীরা নেমে নেমে যাবে মাঝরাস্তায় ।

উত্তর : সরল বাক্য ।

৪.২ যেখানে ঘাসের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, হঠাৎ চোখে পড়বে সেখানে যেন কে সবুজ জাজিম পেতে রেখেছে ।

উত্তর : জটিল বাক্য ।

৪.৩ আয়বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে ।

উত্তর : যৌগিক বাক্য ।

৪.৪ খড় কিংবা টিনের চাল ।

উত্তর : সরল বাক্য ।

৫. নীচের বাক্যগুলি থেকে শব্দবিভক্তি এবং অনুসর্গ খুঁজে নিয়ে লেখো :

৫.১ কেউ এসেছিল দোকানের জন্য মাল তুলতে ।

উত্তর :

কেউ – শূন্য বিভক্তি
এসেছিল – শূন্য বিভক্তি
দোকানের – এর বিভক্তি
মাল – শূন্য বিভক্তি
তুলতে – শূন্য বিভক্তি

জন্য – অনুসর্গ

৫.২ বৃষ্টির ঝমঝম শব্দে অন্য সমস্ত আওয়াজ ডুবে যায় ।

উত্তর :

বৃষ্টির – র বিভক্তি
ঝমঝম – শূন্য বিভক্তি
শব্দে – এ বিভক্তি
অন্য – শূন্য বিভক্তি
সমস্ত – শূন্য বিভক্তি
আওয়াজ – শূন্য বিভক্তি
ডুবে – এ বিভক্তি
যায় – শূন্য বিভক্তি

৫.৩ সন্ধে নাগাদ উলু দিয়ে ব্রত শেষ হয় ।

উত্তর :

সন্ধে – শূন্য বিভক্তি
নাগাদ – শূন্য বিভক্তি
উলু – শূন্য বিভক্তি
ব্রত – শূন্য বিভক্তি
শেষ – শূন্য বিভক্তি
হয় – শূন্য বিভক্তি

দিয়ে – অনুসর্গ

৫.৪ ছেলেরা হই হই করে ছোটে আমবাগানে ।

উত্তর :

ছেলেরা – শূন্য বিভক্তি
হই হই – শূন্য বিভক্তি
করে – শূন্য বিভক্তি
ছোটে – শূন্য বিভক্তি
আমবাগানে – এ বিভক্তি

৬.পাঠ থেকে নিম্নলিখিত শব্দগুলির সমার্থক শব্দ খুঁজে লেখো :

অম্বর, ধরা, মৃত্তিকা, প্রান্তর, তটিনী ।

উত্তর : সমার্থক শব্দ :

অম্বর → আকাশ
ধরা → পৃথিবী
মৃত্তিকা → মাটি
প্রান্তর → মাঠ
তটিনী → নদী

৭. নীচের সমোচ্চারিত/ প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লেখো :

উত্তর : সমোচ্চারিত/ প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ :

ধোয়া: পরিষ্কার করার জন্য জল দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করা
ধোঁয়া: আগুন থেকে বের হওয়া ধূসর বাষ্প

জলে: জলের মধ্যে
জ্বলে: প্রজ্বলিত হয়

বাধা: কোনো কাজের প্রতিবন্ধকতা
বাঁধা: বেঁধে রাখা বা আটকে রাখা

গায়ে: শরীরে বা দেহে
গাঁয়ে: গ্রামে

ঝরে: খসে পড়ে (ফুল বা পাতা)
ঝড়ে: ঝড়ের সময় তীব্র বায়ুপ্রবাহ

৮. শুদ্ধ বানানটি লেখো :

৮.১ মুহুর্ত/ মূহুর্ত/ মুহূর্ত

উত্তর : মুহূর্ত

৮.২ অঘ্রহায়ন/ অগ্রহায়ন/ অগ্রহায়ণ

উত্তর : অগ্রহায়ণ

৮.৩ বিলক্ষণ/ বিলক্ষন/ বিলখ্যন

উত্তর : বিলক্ষণ

৮.৪ মরিচিকা/ মরীচিকা/ মরীচীকা

উত্তর : মরীচিকা

৯. বেলা, ডাল, সারা, চাল – এই শব্দগুলিকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি করে বাক্য লেখো ।

উত্তর :

বেলা :
প্রথম অর্থ – সময়
দ্বিতীয় অর্থ – বেলন

ডাল :
প্রথম অর্থ – খাদ্যশস্যের একটি প্রকার
দ্বিতীয় অর্থ – গাছের শাখা

সারা :
প্রথম অর্থ – পুরোটা বা সবটা
দ্বিতীয় অর্থ – শেষ করা বা সমাপ্ত

চাল :
প্রথম অর্থ – খাদ্য বিশেষ
দ্বিতীয় অর্থ – ছাউনি

৯. নম্বর প্রশ্নের উত্তরের বাক্য রচনা তোমরা নিজেরা লেখো । তোমাদের লেখা উত্তর এই পোষ্টের Comment Section-এ অথবা YouTube Channel এর ‘মরশুমের দিনে’ গল্পটির প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও-এর Comment Section-এ আমাদের পাঠাতে পারো ।

১০. টীকা লেখো :

মরীচিকা, বসুধারা, ব্রত, মেঘরানীর কুলো, ভাদুলি ।

উত্তর :

মরীচিকা : মরীচিকা এক ধরনের প্রাকৃতিক ভ্রম, যা গরমের কারণে সৃষ্টি হয় । এটি মরুভূমি বা রোদে তপ্ত রাস্তায় দেখা যায়, যেখানে দূর থেকে জল আছে মনে হয় । কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যায়, সেখানে কোনো জল নেই । সূর্যের তাপ এবং আলো বায়ুর স্তরে প্রতিফলিত হয়ে এই ভ্রম সৃষ্টি করে ।

বসুধারা : বসুধারা শব্দটি পৃথিবীকে বোঝায়, বিশেষ করে তার উর্বরতা এবং জীবনের জন্য উপযোগিতা প্রকাশ করতে । এটি কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ধর্মীয় ব্রত, যেখানে পৃথিবীকে ধন্যবাদ জানানো হয় শস্য ও জীবনের জন্য । বসুধারা ব্রত সাধারণত বৃষ্টির কামনায় বা ভালো ফসলের জন্য পালন করা হয় ।

ব্রত : ব্রত হল একটি ধর্মীয় বা সামাজিক নিয়ম, যা কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পালন করা হয় । এতে উপবাস, প্রার্থনা বা বিশেষ রীতি অনুসরণ করা হয় । ব্রত সাধারণত ভালো ফসল, বৃষ্টি, স্বাস্থ্য বা সুখের জন্য পালন করা হয় এবং এটি সমাজে ঐতিহ্যগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ।

মেঘরানীর কুলো : মেঘরানীর কুলো হল বৃষ্টি আনার জন্য পালিত একটি প্রথা । এই প্রথায় কুলো, জল, ঘট নিয়ে চাষিঘরের অল্পবয়সী মেয়েরা দল বেঁধে পাড়ায় ঘুরে বেড়ায় । তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গান গেয়ে চাল, তেল, সিঁদুর সংগ্রহ করে, কখনো পায় দু-চারটি পয়সা বা পান-সুপারি । গান গাওয়ার মাধ্যমে তারা মেঘকে বৃষ্টির জন্য লোভ দেখায় এবং নানা প্রতিশ্রুতি দেয়, যাতে মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে পড়ে ।

ভাদুলি : বর্ষার শেষের দিকে মেয়েরা এই ব্রত পালন করে । মাটিতে আলপনা এঁকে ফুটিয়ে তোলে সাত সমুদ্র, তেরো নদী, নদীর চড়া, কাঁটার পর্বত, বন, ভেলা, বাঘ, মোষ, কাক, বক, এবং তালগাছে বাবুই পাখির বাসার ছবি । এই ব্রত আমাদের সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন এদেশের সওদাগররা সাতডিঙা ভাসিয়ে সমুদ্রে বাণিজ্যে যেতেন । ব্রতের ছড়াগুলি সেই পুরনো দিনের জীবন্ত চিত্র তুলে ধরে ।

১১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১১.১ বাস-ডিপোয় অপেক্ষমান যাত্রীদের ছবি কীভাবে পাঠ্যাংশে ধরা পড়েছে ?

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে বাস-ডিপোতে অপেক্ষমান যাত্রীদের ছবি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । তারা বিভিন্ন কাজে শহরে এসেছেন – কেউ মামলা-মোকদ্দমা, কেউ চিকিৎসার জন্য, আবার কেউ বাজারের জন্য মাল কিনতে । যাত্রীরা নিজেদের জায়গায় বসার পর বাইরে এসে দাঁড়ায় । কেউ গরমে হাওয়া খায়, কেউ শীতে রোদ পোহায় । চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে বসে ড্রাইভার চা খায়, আর যাত্রীরা কাছেপিঠে ঘুরে বেড়ায় ।

এভাবে গল্পে যাত্রীদের দৈনন্দিন জীবনের ছোটো ছোটো মুহূর্ত ধরা পড়েছে, যা তাদের সাধারণ জীবনের চিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছে ।

১১.২ ‘গ্রামের সঙ্গে শহরের যে এখনও নাড়ির টান’ – এই নাড়ির টানের প্রসঙ্গ রচনাংশে কীভাবে এসেছে ?…

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে গ্রাম ও শহরের নাড়ির টান বোঝাতে বলা হয়েছে, গ্রামের মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনের জন্য শহরে যায় । কেউ মামলার কাজ করতে, কেউ সরকারি অফিসে দরবার করতে, কেউ বাজারের জন্য, আবার কেউ সিনেমা দেখতে বা পুজো দিতে । এ সময় গ্রামের চাষিরা ফসল বেচে টাকা পায়, যা শহরে খরচ করে । শহরের উকিল-মোক্তার, দোকানদার, পুরোহিত, সবাই গ্রামের মানুষের এই আসা-যাওয়ার সঙ্গে জড়িত ।

এইভাবে গ্রাম ও শহরের মধ্যে যোগাযোগ বা নাড়ির টান বোঝানো হয়েছে, যা তাদের একে অপরের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে ।

১১.৩ ‘ধানের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু বৃষ্টি’ – বৃষ্টির সময়ে ধানক্ষেতের ছবিটি কেমন ? অন্য যে যে সময়ে ধান চাষ হয়ে থাকে, তা লেখো ।

উত্তর : ‘ধানের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু বৃষ্টি’ – এই প্রসঙ্গে ধানক্ষেতের ছবি

লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে বলা হয়েছে, ধানের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু বৃষ্টি । বৃষ্টির সময় ধানক্ষেতের ছবি খুব সুন্দর হয় । যতদূর চোখ যায়, কেবল সবুজ ধানের গাছ দেখা যায়, যেন একটা সবুজ সমুদ্র । হাওয়ায় ধানের ওপর ঢেউ খেলে যায় । দূরে তালগাছ বা শিমুলগাছ জেগে থাকে । মাটির সোঁদা গন্ধে চারপাশ ভরে ওঠে ।

ধান চাষের অন্য সময়গুলোতেও ক্ষেতের চেহারা বদলায় ।

  • শরৎকালে ধানের গাছগুলো বড়ো হয়, আর মাঠ সবুজে ভরে ওঠে ।
  • ধান কাটার পর ক্ষেত রুক্ষ হয়ে যায়, আর আলগুলো বুকের হাড়ের মতো দেখা যায় ।
  • বর্ষার আগে চাষিরা জমি তৈরি করে, লাঙল দিয়ে মাটি খুঁড়ে বীজ বুনে রাখে ।
    এইভাবে প্রতিটি সময়ে ধানক্ষেতের ছবি বদলে যায় ।

১১.৪ ‘আগে বছর আরম্ভ হতো অগ্রহায়ণে’ – এর সম্ভাব্য কারণ কী ?

উত্তর : ‘আগে বছর আরম্ভ হতো অগ্রহায়ণে’ – এর সম্ভাব্য কারণ

লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে বলা হয়েছে, আগে বছর শুরু হতো অগ্রহায়ণ মাসে । এর কারণ হলো, অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটার সময় হয় । ধান আমাদের দেশের প্রধান ফসল, যা মানুষের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত । ফসল তোলার এই সময়কে সবাই খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করত ।

‘অগ্রহায়ণ’ শব্দের অর্থ হলো বছরের শুরু বা ফসলের শুরু । তাই ফসল তোলার আনন্দ এবং নতুন বছরের সূচনা একই সঙ্গে উদযাপন করার জন্য আগে বছর শুরু হতো অগ্রহায়ণে ।

১১.৫ ‘এদেশের যত পালা-পার্বণ, উৎসব-আনন্দ, সব কিছুরই মূলে রয়েছে চাষবাস ।’ – বাংলার উৎসব-খাদ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে চাষবাস কতটা জড়িত বলে তুমি মনে করো ?

উত্তর : বাংলার উৎসব-খাদ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে চাষবাসের সম্পর্ক

লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে বলা হয়েছে, বাংলার উৎসব, খাদ্য, আর সংস্কৃতির মূলে চাষবাস রয়েছে । চাষবাস বাংলার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত । ফসল তোলার সময় যেমন আনন্দ হয়, তেমনই সেই সময়ে পালা-পার্বণ ও উৎসব হয় ।

  • উৎসব: অগ্রহায়ণ মাসে ধান তোলার পরে নবান্ন উৎসব হয়, যেখানে নতুন চাল দিয়ে পিঠে-পুলি বানানো হয় ।
  • খাদ্য: ধান থেকে চাল হয়, আর তা দিয়ে ভাত, পিঠে, মুড়ি তৈরি হয়, যা বাংলার মানুষের প্রধান খাবার ।
  • সংস্কৃতি: চাষের সঙ্গে জড়িত নানা ব্রত যেমন ক্ষেত্রব্রত, ভাদুলি ব্রত, এগুলো চাষবাসের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে ।

তাই বাংলার উৎসব-খাদ্য-সংস্কৃতি সবই চাষবাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত । চাষের ভালো ফলন মানেই আনন্দ, আর ফসল না হলে জীবন কঠিন হয়ে যায় ।

১১.৬ ‘শহর ছাড়ালেই দু-পাশে দেখা যাবে’ – শহরের চিত্রটি কেমন ? তা ছাড়িয়ে গেলে কোন দৃশ্য দেখা যাবে ?

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে শহরের চিত্র এবং শহর ছাড়িয়ে যাওয়ার দৃশ্য খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ।

শহরের চিত্র :
শহরে বাস-ডিপো, দোকানপাট, এবং মানুষের ব্যস্ততা দেখা যায় । শহরের রাস্তায় মানুষজন কাজের জন্য আসা-যাওয়া করে । কেউ মামলা করতে আসে, কেউ বা বাজার করতে ।

শহর ছাড়িয়ে গেলে :
শহর ছাড়ালেই চারপাশে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখা যায় । রাস্তার দুপাশে বড় বড় গাছ যেমন বট, পাকুড়, শাল, আর সেগুন দাঁড়িয়ে থাকে । মাথার ওপর বিশাল নীল আকাশ, আর রাস্তা সোজা সামনের দিকে চলে গেছে । গরমকালে দূর থেকে মনে হয় রাস্তার ওপর জল চিকচিক করছে, যা মরীচিকার মতো ।

শহর আর গ্রামের এই পরিবর্তন প্রকৃতির বৈচিত্র্যকে তুলে ধরে ।

১১.৭ ‘এই রাস্তার ওপরই এক ভারি মজার দৃশ্য দেখা যায়’ – মজার দৃশ্যটি কেমন তা নিজের ভাষায় লেখো ।

উত্তর : লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মরশুমের দিনে’ গল্পে রাস্তার মজার দৃশ্যটি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে । গরমকালে যখন চারপাশের হাওয়া আগুনের মতো গরম থাকে, তখন রাস্তার ওপর একটি মজার দৃশ্য দেখা যায় । দূর থেকে মনে হয় রাস্তার ওপর জল চিকচিক করছে । সেই জলে দুপাশের গাছের ছায়াও উল্টো হয়ে পড়েছে বলে মনে হয় । কিন্তু কাছে গেলে দেখা যায়, কোথাও জল নেই, ছায়াও নেই । এটি আসলে মরীচিকার মতো, যা শুধু দূর থেকে দেখলেই মনে হয় ।

এই দৃশ্যটি প্রকৃতির একটি খেলা, যা খুবই মজার এবং আশ্চর্যের ।

১১.৮ ‘ব্রতের ভিতর দিয়ে মনে পড়ে যায় সেই আপনজনদের কথা, যারা দূরে আছে’ – শিক্ষক/ শিক্ষিকার সাহায্য নিয়ে এমনই কিছু ‘ব্রত’র ছড়া খাতায় সংগ্রহ করো ।

উত্তর : ১১.৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তরের বাক্য রচনা তোমরা নিজেরা লেখো । তোমাদের লেখা উত্তর এই পোষ্টের Comment Section-এ অথবা YouTube Channel এর ‘মরশুমের দিনে’ গল্পটির প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও-এর Comment Section-এ আমাদের পাঠাতে পারো ।

১১.৯ বিভিন্ন ঋতুবিষয়ক প্রচলিত ছড়া আর ছবি সাজিয়ে নিজেরা লিখে বিদ্যালয়ে একটি দেয়াল-পত্রিকা তৈরি করো ।

উত্তর : ১১.৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তরের বাক্য রচনা তোমরা নিজেরা লেখো । তোমাদের লেখা উত্তর এই পোষ্টের Comment Section-এ অথবা YouTube Channel এর ‘মরশুমের দিনে’ গল্পটির প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও-এর Comment Section-এ আমাদের পাঠাতে পারো ।

১১.১০ ‘ধান কাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য’ – এই দৃশ্যে কোন ঋতুর ছবি ফুটে উঠেছে ? সেই ঋতু সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো ।

উত্তর : ১১.১০ নম্বর প্রশ্নের উত্তরের বাক্য রচনা তোমরা নিজেরা লেখো । তোমাদের লেখা উত্তর এই পোষ্টের Comment Section-এ অথবা YouTube Channel এর ‘মরশুমের দিনে’ গল্পটির প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও-এর Comment Section-এ আমাদের পাঠাতে পারো ।

Follow us:

If you like this article, you can Follow us on Facebook.
Also, you can Subscribe to our YouTube Channel.

Leave a Reply