পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) অনুমোদিত ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই “সাহিত্যমেলা” । এখানে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘মন ভালো করা’ কবিতাটির প্রশ্ন ও উত্তর (হাতে কলমে) আলোচনা করা হল ।
মন ভালো করা – প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন ?
উত্তর : শক্তি চট্টোপাধ্যায় কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন ।
১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো ।
উত্তর : তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হল – হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান, যেতে পারি কিন্তু কেন যাব ।
২. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো :
হ্রস্ব, খর, শান্ত ।
উত্তর : বিপরীতার্থক শব্দ
হ্রস্ব – দীর্ঘ
খর – মৃদু
শান্ত – অশান্ত
২. নম্বর প্রশ্নের উত্তরের বাক্য রচনা তোমরা নিজেরা লেখো । তোমাদের লেখা উত্তর এই পোষ্টের Comment Section-এ অথবা YouTube Channel এর ‘মন ভালো করা’ কবিতাটির প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও-এর Comment Section-এ আমাদের পাঠাতে পারো ।
৩. নীচের শব্দগুলি কোন মূল শব্দ থেকে এসেছে লেখো :
রোদ্দুর, গা ।
উত্তর : মূল শব্দ থেকে উৎপন্ন শব্দ:
রোদ্দুর → মূল শব্দ: রোদ
গা → মূল শব্দ: গাত্র
৪. “হাওয়ায়-বাতাসে পাতারাও নড়ে” – হাওয়া-বাতাসের মতো একই অর্থবোধক পাঁচটি শব্দবন্ধ রচনা করে স্বাধীন বাক্যে প্রয়োগ করো ।
উত্তর : হাওয়া-বাতাসের মতো একই অর্থবোধক পাঁচটি শব্দবন্ধ হল – হাসি-খুশি, হাট-বাজার, দায়-দায়িত্ব, বিপদ-আপদ, চোর-ডাকাত ।
৪. নম্বর প্রশ্নের উত্তরের স্বাধীন বাক্যে প্রয়োগ অর্থাৎ বাক্য রচনা তোমরা নিজেরা লেখো । তোমাদের লেখা উত্তর এই পোষ্টের Comment Section-এ অথবা YouTube Channel এর ‘মন ভালো করা’ কবিতাটির প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও-এর Comment Section-এ আমাদের পাঠাতে পারো ।
৫. ‘মন-ভালো-করা’, ‘নীল-নীলান্ত’র মতো একাধিক শব্দবন্ধ তৈরি করো ।
উত্তর : ‘মন-ভালো-করা’-র মতো শব্দবন্ধের উদাহরণ – মন-প্রসন্ন-হওয়া, হাত-তালি-দেওয়া, বসে-আঁকো-প্রতিযোগিতা, নাম-না-জানা-পাখি, সবুজ-বাঁচাও-কমিটি ।
‘নীল-নীলান্ত’ব মতো শব্দবন্ধের উদাহরণ – দিক-দিগন্ত, ডুব-ডুবন্ত, দূর-দুরান্ত, হাওয়া-বাতাস, দেনা-পাওনা।
৬. গদ্যে লেখো :
‘মন-ভালো-করা-রোদ্দুর কেন/ মাছরাঙাটির গায়ের মতন ?
উত্তর : মন ভালো করা রোদ কেন মাছরাঙার গায়ের মতো ?
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো ।
৭.১ কবিতায় কবিমনে কোন কোন প্রশ্ন জেগেছে তা নিজের ভাষায় লেখো ।
উত্তর : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘মন ভালো করা’ কবিতায় কবির মনে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে কিছু প্রশ্ন জেগেছে । তিনি ভাবছেন:
- মন-ভালো-করা রোদ্দুর কেন মাছরাঙাটির গায়ের মতো সুন্দর ও আকর্ষণীয় ?
- মাছরাঙার গায়ের রং কেন নীল-নীলান্ত, লাল, হলুদ, আর সবুজের মতো খর ও শান্ত ?
- মাছরাঙাটির গায়ে আলো ও হাওয়া পড়লে কীভাবে তা আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে ?
এই প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে কবি প্রকৃতি ও মাছরাঙার সৌন্দর্যের মধ্যে এক অপূর্ব মিল খুঁজে পেতে চেয়েছেন ।
৭.২ মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন ?
উত্তর : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘মন ভালো করা’ কবিতায় কবি মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে মাছরাঙাটির গায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন । তার মতে, মাছরাঙার গায়ের রং ঠিক রোদ্দুরের মতোই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর । মাছরাঙার গায়ে নীল, লাল, হলুদ এবং সবুজ রং যেন রোদ্দুরের খর ও শান্ত ভাবের মতো মনে হয় ।
৭.৩ মাছরাঙা পাখির রং কবির চোখে কীভাবে ধরা পড়েছে ?
উত্তর : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘মন ভালো করা’ কবিতায় কবির চোখে মাছরাঙা পাখির রং অত্যন্ত সুন্দর ও মুগ্ধকর । তিনি লক্ষ্য করেছেন, মাছরাঙার গায়ে নীল, লাল, হলুদ এবং সবুজ রং একসঙ্গে মিশে আছে । এই রং কখনও খর তীব্র মনে হয়, আবার কখনও শান্ত অনুভূতি জাগায় । রোদ্দুরের সৌন্দর্যের সঙ্গে তিনি মাছরাঙার রং-এর তুলনা করেছেন, যা প্রকৃতির অনন্য রূপের ইঙ্গিত দেয় ।
৭.8 গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কীভাবে কবিকল্পনাকে প্রভাবিত করেছে তা বুঝিয়ে দাও ।
উত্তর : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘মন ভালো করা’ কবিতায় কবির কল্পনায় গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি এক অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে । তার গায়ে থাকা উজ্জ্বল নীল, লাল, হলুদ এবং সবুজ রং কবিকে মুগ্ধ করেছে । কবি অনুভব করেন, মাছরাঙার রং যেন প্রকৃতির রোদ্দুরের মতোই মন-ভালো-করা । এই পাখিটির উপস্থিতি প্রকৃতির এক স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরে, যা কবির কল্পনায় আনন্দ এবং প্রশান্তি নিয়ে আসে । গাছের পাতায় আলো ও হাওয়ার খেলা এবং মাছরাঙার রঙিন গায়ে সূর্যের আলো পড়া কবিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে এবং তার কল্পনাকে নতুন রূপ দিয়েছে ।
Follow us:
If you like this article, you can Follow us on Facebook.
Also, you can Subscribe to our YouTube Channel.