ফাঁকি – প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি | সাহিত্যমেলা

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) অনুমোদিত ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই “সাহিত্যমেলা” । এখানে লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ‘ফাঁকি’ গল্পটির প্রশ্ন ও উত্তর (হাতে কলমে) আলোচনা করা হল ।

ফাঁকি – প্রশ্ন ও উত্তর

১.১ রাজকিশোর পট্টনায়ক কোন ভাষার লেখক ?

উত্তর : রাজকিশোর পট্টনায়ক ওড়িয়া ভাষার লেখক ।

১.২ তাঁর লেখা দুটি গল্পের বইয়ের নাম লেখো ।

উত্তর : রাজকিশোর পট্টনায়কের লেখা দুটি গল্পের বইয়ের নাম হল পথুকি, ভড়াঘর ।

Read Also:

ফাঁকি – গল্প | ষষ্ঠ শ্রেণি | সাহিত্যমেলা

২. সন্ধিবিচ্ছেদ করো :

সন্দেহ, আষ্টেক, প্রত্যেক, সম্পূর্ণ, নিরপরাধ, দুর্বল ।

উত্তর : সন্ধিবিচ্ছেদ :

সন্দেহ = সম্ + দেহ
আষ্টেক = আষ্ট + এক
প্রত্যেক = প্রতি + এক
সম্পূর্ণ = সম্ + পূর্ণ
নিরপরাধ = নিঃ + অপরাধ
দুর্বল = দুঃ + বল

৩. প্রতিশব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো :

বাড়ি, ছেলে, রাস্তা, পাথর, গাছ, বন্ধু, নদী ।

উত্তর : প্রতিশব্দ :

বাড়ি : গৃহ, ভবন ।
ছেলে : পুত্র, কিশোর ।
রাস্তা : পথ, সড়ক ।
পাথর : শিলা, প্রস্তর ।
গাছ : বৃক্ষ, উদ্ভিদ ।
বন্ধু : সখা, মিত্র ।
নদী : স্রোতস্বিনী, তটিনী ।

৩. নম্বর প্রশ্নের উত্তরে বাক্য রচনা তোমরা নিজেরা করো । তোমাদের উত্তর এই পোষ্টের Comment Section-এ অথবা YouTube Channel এর ‘ফাঁকি’ গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও-এর Comment Section-এ আমাদের পাঠাতে পারো ।

৪. নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া বেছে নিয়ে লেখো :

৪.১ এটুকু জমি খালি রাখা যাক ।

উত্তর :

সমাপিকা ক্রিয়া : রাখা
অসমাপিকা ক্রিয়া : যাক

৪.২ আগে গাছ লাগাব ।

উত্তর :

সমাপিকা ক্রিয়া : লাগাব
অসমাপিকা ক্রিয়া : নেই

৪.৩ কোঁদল লাগবে, বাইরের কোঁদল এসে ঘরে ঢুকবে ।

উত্তর :

সমাপিকা ক্রিয়া : লাগবে, ঢুকবে
অসমাপিকা ক্রিয়া : এসে

৪.৪ মায়ে-পোয়ে ঘরের ভিতরে চলে গেল, বিশেষ আলোচনার জন্য ।

উত্তর :

সমাপিকা ক্রিয়া : গেল
অসমাপিকা ক্রিয়া : নেই

৪.৫ সকালে গোপাল আর গোপালের মা উঠে প্রথমেই গেল আমগাছ দেখতে, গাছ নেতিয়ে পড়েনি তো ?

উত্তর :

সমাপিকা ক্রিয়া : গেল
অসমাপিকা ক্রিয়া : উঠে, দেখতে, পড়েনি

৫. সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করো :

৫.১ বাবা আমগাছ নিয়ে পাঁচিলের কাছে লাগাচ্ছেন ।

উত্তর : সকর্মক ক্রিয়া : লাগাচ্ছেন

৫.২ খুব হয়েছে, মা আর ছেলের একই রকম বুদ্ধি ।

উত্তর : অকর্মক ক্রিয়া : হয়েছে

৫.৩ আপন চেষ্টাতেই গাছটি বেড়েছে ।

উত্তর : অকর্মক ক্রিয়া : বেড়েছে

৫.৪ জল দেওয়া হলো ।

উত্তর : সকর্মক ক্রিয়া : দেওয়া হলো

৬. গল্প থেকে বেছে নিয়ে পাঁচটি অনুসর্গ লেখো । সেই অনুসর্গগুলি যোগে স্বাধীন বাক্য রচনা করো ।

উত্তর : গল্প থেকে পাঁচটি অনুসর্গ হল মতো, থেকে, হতে, জন্য, দিয়ে ।

৭. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :

জাহাজ, গাছ, পোষ, ঝড়, পশ্চিম ।

উত্তর :

বিশেষ্যবিশেষণ
জাহাজজাহাজী
গাছগেছো
পোষপোষ্য
ঝড়ঝোড়ো
পশ্চিম পশ্চিমী

৮. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো :

৮.১ কটক কোন নদীর তীরে অবস্থিত ? ওড়িশার আরও একটি নদীর নাম লেখো ।

উত্তর : কটক মহানদীর তীরে অবস্থিত ।

ওড়িশার আরও একটি নদীর নাম হল ব্রাহ্মণী নদী ।

৮.২ গোপালের বাবা প্রথমে কেন বাগানে ফুলগাছ লাগাতে চাননি ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, গোপালের বাবা কলমি আমগাছ বসাতে চান । তিনি ফুলগাছ লাগাতে চাননি কারণ সেখানকার মাটি বেলে মাটি, জল দেবারও সুবিধা নেই । আর ফুলগাছ লাগালে রোজ প্রচুর জল দিতে হবে ।

৮.৩ আমগাছে কেন ঠেকো দিতে হয়েছিল ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, উড়োজাহাজ থেকে যদি বোমা পড়ে তবে তার হাত থেকে বাঁচবার জন্য সরকারের লোক ট্রেঞ্চ খুঁড়ে রেখে গেছে একেবারে আমগাছের গোড়া পর্যন্ত । সেইদিন থেকে গাছ হেলে পড়েছে পূর্ব দিকে । তাই আমগাছে ঠেকো দিতে হয়েছিল ।

৮.৪ গাছটিকে উইয়ে খেয়ে ফেলল কীভাবে ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, গাছটির গোড়ার দিকে উইয়ে ধরে ছিল কেউ খেয়াল করেনি । পিঁপড়ে উই খেয়ে নষ্ট করে । কিন্তু পিঁপড়ে ওষুধ দিয়ে মারা হয়েছিল তাই মনের আনন্দে উই পোকা গাছ খেয়ে ফেলেছিল ।

৮.৫ গল্প অনুসারে কটকের খবরের কাগজে আমগাছটিকে নিয়ে কী সংবাদ বেরিয়েছিল ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্প অনুসারে কটকের খবরের কাগজে আমগাছটিকে নিয়ে সংবাদ বেরিয়েছিল যে, কটকে অর্ধরাত্রে ভীষণ ঝড় বৃষ্টিতে শহরের ভিতরে পুরীঘাটে আমগাছ উপড়ে পড়েছে ।

৯. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

৯.১ ‘একটু জমি খালি রাখা যাক’ – প্রস্তাবটি কে দিয়েছিলেন ? কেন তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন ?

উত্তর : ‘একটু জমি খালি রাখা যাক’ প্রস্তাবটি লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে গোপালের বাবা দিয়েছিলেন ।

গোপাল চেয়েছিল বাড়িটা হোক একেবারে রাস্তার ধারে কিন্তু তার বাবা ফাঁকা শুকনো জমিতে বাড়ি করতে রাজি ছিলেন না । তিনি চেয়েছিলেন সামনের দিকে কিছুটা ফাঁকা রেখে বাড়ি করতে । তাই তিনি অর্থাৎ গোপালের বাবা এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ।

৯.২ ‘গোপাল মুখ তুলে সন্দিগ্ধভাবে বাবার মুখের দিকে তাকাল ।’ – তার এই সন্দেহের কারণ কী ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, গোপালের এই সন্দেহের কারণ বাবা যে কলমি গাছ তৈরী করেছেন তা সত্যিই ভাল জাতের কিনা । গাছ কেমন হবে ? এই সব সন্দেহ তার মনে উদয় হওয়ায় সে সন্দিগ্ধভাবে বাবার মুখের দিকে তাকাল ।

৯.৩ ‘তুই করবি বাগান !’ – বাবা কেন এমন মন্তব্য করেন ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, ফুলের বাগান না আমগাছ বসবে এই নিয়ে গোপাল ও তার বাবার মধ্যে বিরোধ বাধলে, গোপাল বলেছিল ফুলের বাগান করবে । বেলেমাটিতে রোজ সে জল ঢালবে । অথচ সে নিজেই এক বালতি জল তুলে স্নান করে না । তাই তার বাবা ব্যঙ্গ করে “তুই করবি বাগান !” এই কথাগুলি বলেছিলেন ।

৯.৪ ‘গাছটাকে আর দু’হাত ভিতরে লাগালে কত ভালো হতো ।’ – কোন গাছ ? কেন বক্তার এমন মনে হয়েছে ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, উল্লেখিত গাছটি হলো আমগাছ ।

বক্তার অর্থাৎ গোপালের এমন মনে হয়েছে কারণ গাছটি রাস্তার খুব কাছে লাগানো হয়েছিল, ফলে গাছের ডালপালা পাঁচিল ডিঙিয়ে রাস্তায় ঝুঁকে পড়তে পারে । তা নিয়ে রাস্তার ছেলেরা উৎপাত করতে পারে । আম হলে বাইরের ডাল থেকে সব আম পাড়ার লোকেরা পেড়ে নিতে পারে । এইসব ভেবে গোপালের মনে হয়েছে ‘গাছটাকে আর দু’হাত ভিতরে লাগালে কত ভালো হতো ।’

৯.৫ আমগাছটি কীভাবে গোপালবাবুর বাড়ির নিশানা হয়ে উঠেছিল ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, আমগাছটি গোপালবাবুর বাড়ির সামনে এমনভাবে বেড়ে উঠেছিল যে এটি বাড়িটির একটি বিশেষ চিহ্ন বা নিশানা হয়ে দাঁড়ায় । দূর থেকে দেখলেই বড় এবং ছড়ানো ডালপালার এই আমগাছটি চোখে পড়ত, যা বাড়িটির অবস্থান নির্দেশ করত । গোপালবাবু যখন কাউকে বাড়ীর ঠিকানা দিতেন তখন বলতেন, কাঠজোড়ি নদীর ধার বরাবর পুরীঘাট পুলিশের ফাঁড়ির পশ্চিমে যেখানে পাঁচিলের মধ্যে আমগাছ দেখবেন সেইখানেই আমাদের বাড়ী । এইভাবে বলতে বলতে একদিন আমগাছটি গোপালবাবুর বাড়ীর নিশানা হয়ে উঠেছিল ।

৯.৬ গাছটি কীভাবে তাদের সাহায্য করেছিল বুঝিয়ে লেখো ।

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, আমগাছটি বিভিন্নভাবে গোপালবাবু এবং তার পরিবারের সাহায্য করেছিল । প্রথমত, গাছটি বাড়ির একটি চিহ্ন হয়ে ওঠে, যা বাড়িটিকে সহজে চেনার সুযোগ দেয় । দ্বিতীয়ত, গাছটি তাদের শীতল ছায়া দেয়, যা গরমের সময় আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে । তৃতীয়ত, গাছটি প্রচুর আম ফলিয়েছিল, যা তারা খেত এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গেও ভাগ করে নিত। এছাড়া, গাছটি তাদের মানসিক শান্তি এবং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগের অনুভূতিও এনে দিয়েছিল ।

৯.৭ আমগাছটিকে ঘিরে বাড়ির সকলের অনুভূতির প্রকাশ গল্পে কীভাবে লক্ষ্য করা যায় ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, আমগাছটিকে ঘিরে বাড়ির সকলের অনুভূতি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে । প্রথম দিকে আমগাছ বসানো নিয়ে বিরোধ থাকলেও, ধীরে ধীরে আমগাছটি বাড়ীর লোকের খুব কাছের হয়ে ওঠে । গাছ যাতে পশুরা খেয়ে না ফেলে তার জন্য কঞ্চি দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়, গাছের পাশ দিয়ে ট্রেঞ্চ খুঁড়লে গাছটির গোড়া যদি আলগা হয়ে যায়, তাই ভেবে ঠেকো লাগানো হয় । বোমা পড়লে গাছটি ক্ষতি হয়ে যাবে – এই চিন্তায় বাড়ির লোকের ঘুম হয় না । কুয়াশা এলে কি হবে, সব বোল নষ্ট হয়ে যাবে । ঝড় এলে চিন্তা হত, যদি গাছটির কোন ক্ষতি হয়ে যায় । গাছটি যখন উইয়ে আক্রান্ত হয়, তখন সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, যা তাদের আবেগকে প্রতিফলিত করে ।

গাছটি বাড়ির নিশানা হয়ে ওঠা এবং ফল দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সুখ এনে দেওয়া আরও বোঝায় যে গাছটির প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং মমত্ব কতটা গভীর । এটি কেবল একটি গাছ নয়, পরিবারের এক অভিন্ন স্মৃতি ও সুখের উৎস হয়ে ওঠে । এইভাবে গল্প জুড়ে নানা অনুভূতির প্রকাশ লক্ষ্য করা যায় ।

৯.৮ ‘সেই দিন থেকে গাছ হেলে পড়েছে পুবদিকে ।’ – কোন দিনের কথা বলা হয়েছে ? গাছটি হেলে পড়ার কারণ কী ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, ‘সেই দিন থেকে গাছ হেলে পড়েছে পুবদিকে ।’ – এখানে বোমার হাত থেকে লোকদের বাঁচাবার জন্য সরকারের লোকেরা ট্রেঞ্চ খোঁড়ার দিনটাকে বলা হয়েছে ।

গাছটি হেলে পড়ার কারণ সরকারের লোকেরা ট্রেঞ্চ খোঁড়ার জন্য গাছের প্রায় গোড়া পর্যন্ত গর্ত খুঁড়েছিল । ফলে গাছটি পূর্ব দিকে হেলে পড়ে ।

৯.৯ ‘ঠিক বন্ধুর মতই গাছ সব কথা লুকিয়ে রেখেছে ।’ – গাছটি কীভাবে গোপালের বন্ধু হয়ে উঠেছিল ? কোন সব কথা সে লুকিয়ে রেখেছিল ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, গোপাল যে গাছটি বসাতে চায়নি একদিন সেই গাছ তার বন্ধু হয়ে ওঠে । গোপাল গাছের গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করে, তার পরিচর্চা করে । সব দিকে নজর রাখে । প্রয়োজন হলে কাউকে ফুল পাতা দিতেও সে নারাজ, যাতে না গাছের ক্ষতি হয় । ঝড় এলে, বোমা পড়ার কথা শুনলে, কুয়াশা এলে তার চিন্তা হয় । এই আম গাছকেই সে তার বাড়ির পরিচয় বানিয়ে ফেলে । সবাইকে ঠিকানা দেয়, এই আমগাছটিকে উল্লেখ করে । গাছটির প্রতি তার মায়া মমতা খুব বেশী ।

বাইরের লোকের অসুবিধা হবে বলে গোপাল গাছের সরু ডালগুলো ছেঁটে দেয় । ডালগুলো যাতে কেউ দেখতে না পায় তার জন্য গোপাল ফেলে দিয়ে আসে । গাছটি পাতার আড়ালে তার ক্ষতচিহ্ন ঢেকে ফেলে ঠিক বন্ধুর মতো গাছ সব কথা লুকিয়ে রাখে । এই সব কথা গাছটি লুকিয়ে রেখেছিল ।

৯.১০ বিভিন্ন ঋতুতে আমগাছটির যে ছবি গল্পে ফুটে উঠেছে তা আলোচনা করো ।

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, বিভিন্ন ঋতুতে আমগাছটি বিভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছে । গ্রীষ্মে, প্রচুর হাওয়া ডালের ছায়া দিয়ে সবাইকে শান্তি দিয়েছে । প্রবল গরমে সুমিষ্ট কাঁচা আম যোগান দিয়ে সকলকে খুশী রেখেছে । গাছটি আমে ভরে ওঠে । গাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়া এবং অন্যদের মধ্যে বিতরণ করা – এটি পরিবারের আনন্দের মুহূর্ত হয়ে ওঠে । শীতে, কচিপাতা বের হয়ে সবাইকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাতার যোগান দিয়েছে । প্রবল ঝড়ের হাত থেকে বাড়ী-ঘর রক্ষা করেছে । এইভাবে বিভিন্ন ঋতুতে পরিবারের সঙ্গেও গাছটির গভীর সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে ।

গল্পে এই ঋতুগত পরিবর্তনগুলি কেবল গাছটির প্রাকৃতিক রূপকেই তুলে ধরে না, এটি পরিবারের আবেগ এবং গাছের প্রতি তাদের মমতার প্রতিফলনও ঘটায় ।

৯.১১ গাছটি কীভাবে পরিবারের সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল ?

উত্তর : লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের ফাঁকি গল্পে, আমগাছটি পরিবারের সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছিল । সে ছিল পরিবারের সদস্যের মতন । সকলের সাথে সেও বুড়ো হচ্ছিল । তার একেবারে গোড়ায় উইপোকায় ধরেছিল । কেউ খেয়াল করেনি । অথচ একটু পিঁপড়ে হলে ওষুধ দেওয়া হত । একদিন প্রবল ঝড়ের রাতে গাছটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে । ভীষণ লড়াই করে পরিবারের সকলকে বাঁচিয়ে সে নিজে লুটিয়ে পড়ল মাটিতে । পরিবারের সবাই সকালে উঠে দেখে, তাদের প্রিয় গাছটি আর নেই। এইভাবে গাছটি পরিবারের সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল ।

এই ঘটনা পরিবারের জন্য এক গভীর শূন্যতা এবং দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কারণ তারা তাদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হারিয়ে ফেলে ।

Follow us:

If you like this article, you can Follow us on Facebook.
Also, you can Subscribe to our YouTube Channel.

Leave a Reply